চিংড়ির প্রয়োজনীয় পুষ্টিসাধন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বজায় রাখার জন্য নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। চিংড়ির মোট দৈহিক ওজনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাদ্য সরবরাহ করা, খাদ্যের গুণাগুণ পরীক্ষা করা এবং সময় মত খাবার দেয়া প্রভৃতি বিষয়ে লক্ষ রাখা আবশ্যক। এ ছাড়াও নিয়মিত জাল টেনে চিংড়ির বৃদ্ধির হার এবং স্বাস্থ্য ও রোগবালাই পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে খামারের উৎপাদন নিশ্চিত করা যায়। এ ছাড়াও পুকুরে খাদ্য প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে বড় আকারের গলদা চিংড়ি পুকুর থেকে সরিয়ে ফেললে ভাল ফল পাওয়া যায়। কারণ অপেক্ষাকৃত বড় চিংড়ি খাদ্য প্রতিযোগিতায় প্রাধান্য বিস্তার করে থাকে এবং ছোট আকারের চিংড়ি কাংখিত মাত্রায় বড় হতে পারে না।
রোগ প্রতিকার ও প্রতিরোধের তুলনামূলক সুবিধা
ক্রম | রোগ প্রতিরোধ | রোগ প্রতিকার |
---|---|---|
১ | তুলনামূলক সহজ | তুলনামূলক জটিল |
২ | আর্থিকভাবে লাভজনক | আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি |
৩ | চিংড়ির গুণগতমান ভালো থাবে | গুণগতমান খারাপ হয় |
৪ | পরিকল্পনামাফিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব | ভবিষ্যদ্বাণী সম্ভব হয় না |
৫ | রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার কম | রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার বেশি |
৬ | পরিবেশ সহনীয় | পরিবেশ সহনীয় নয় |
৭ | টেকসই | টেকসই নয় |
আরও দেখুন...